সেনাবাহিনীতে চাকরী দেবার নাম করে প্রতারনার অভিযোগ : ধৃত উত্তরপ্রদেশের যুবক

29th July 2021 6:12 pm বর্ধমান
সেনাবাহিনীতে চাকরী দেবার নাম করে প্রতারনার অভিযোগ : ধৃত উত্তরপ্রদেশের যুবক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ বাজারে। ধৃত যুবকের নাম করণ যাদব। ৩২ বছরের করন যাদবের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর জেলার ঘামার গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে সেনা বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ বাজারে ওই যুবককে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এলাকার বেশ কয়েকজন বেকার যুবক কে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বুদবুদের কয়েকজন বাসিন্দার সন্দেহ হলে তারা এই বিষয়টি সেনার আধিকারিকদের জানান। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পানাগড় সেনা ছাউনির আর্মি ইন্টেলিজেন্স বিভাগের কর্মীরা। পানাগড় সেনা ছাউনির আর্মি ইন্টালউজেন্স বিভাগ ও বুদবুদ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গত ২৬তারিখে  সন্ধ্যা নাগাদ ওই যুবককে বুদবুদ বাজার থেকে আটক করে বুদবুদ থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুদবুদ থানার পুলিশ ও আর্মি-ইন্টেলিজেন্স বিভাগের কর্মীরা।
পুলিশের জেরা ওই যুবক স্বীকার করে যে বহু চাকরিপ্রার্থীদের কাছে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিত। তাদের সেকেন্দ্রাবাদে আর্মি ট্রেনিং সেন্টারে সরাসরি ভর্তি করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা করত ধৃত যুবক। যাতে চাকরিপ্রার্থীদের কোনরকম ভাবে সন্দেহ না হয় তাই সেনাবাহিনীর পোশাক পড়ে তাদের ভরসা দিত। এলাকার কয়েকজন বেকার যুবকের কাছে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা দাবি করে ওই যুবক। এলাকারই যুবক দের সন্দেহ হলে তারাই এই বিষয়টি সেনার আধিকারিকদের জানানোর পর সেনা কর্মীরা এই বিষয়ে তদন্তে নামে।
বুদবুদ থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে পরের দিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ওই যুবককে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের পর শুক্রবার ওই যুবককে ফের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে। বুদবুদ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিজয় দলপতি জানিয়েছেন সেনা কর্মীরাই তাদেরকে এই বিষয়ে খবর দেয় তারপর এই যৌথ অপারেশন করে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তবে এলাকায়  চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কারোর কাছে সেই ভাবে টাকা নিতে পারেনি। তবে বুদবুদে ওই যুবক কোথায় থাকত তা জানা যায় নি। তবে বুদবুদ থানা সূত্রে জানা গেছে ওই যুবকের সাথে সেনায় ভর্তি করানোর সাথে কোন যোগাযোগ নেই।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।